একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩৫ মণ ধান মজুত রাখতে পারবেন: খাদ্যমন্ত্রী

অবৈধভাবে ধান মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। 


 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি প্রণোদনা পেয়ে চাষিরা প্রচুর খাদ্য উৎপাদন করেছেন। এখন অনেকেই সেই খাদ্য মজুত করছেন। তবে বিনা লাইসেন্সে খাদ্য মজুত করে কেউ সরকারকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করবেন না।


 

শুক্রবার (০৪ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ সিএসডি গুদামের নবনির্মিত অফিস ভবন উদ্বোধনকালে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ধান যে মজুত করবে অবশ্যই তার লাইসেন্স থাকা লাগবে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৩৫ মণ ধান মজুত করে রাখতে পারবেন। এছাড়া কেউ যদি অতিরিক্ত ধান মজুদের চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


 

তিনি আরো বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের সকল উপজেলা খাদ্যগুদাম, ডিসি ফুড অফিস এবং আরসি ফুড অফিস ডিজিটাইলেশন করার জন্য ২৯৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট পাস হয়ে টেন্ডার হয়েছে। এর বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলেই মন্ত্রণালয়ে বসে দেশের প্রত্যন্ত অফিসগুলো সহজেই কম্পিউটারে এক ক্লিকে পরিদর্শন করা সম্ভব হবে। এর ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আরও বেশি সেবা পাবে বলে আমি মনে করি।


 

উদ্বোধন শেষে নবনির্মিত অফিস ভবনের সামনে একটি বৃক্ষরোপণ করেন খাদ্যমন্ত্রী। পরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে খাদ্য সচিব নাজমা আরা খানম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল উপস্থিত ছিলেন।


 

এর আগে সারাদেশে পুরাতন খাদ্য গুদাম সংস্কার ও নতুন অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে নির্মাণাধীন বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার